অর্ধেক আকাশ
হাওড়া থেকে হিউস্টনঃ
এক কুয়াশা ভরা হিমেল রাত্রিতে শেষবারের মত শহর টাকে দেখে নিল আকাশ। এ.সি বদলে হাল্কা হিটার চলছে তাই কাছে বাস্প জমে গেছে, সেই ঘষা কাঁচ আর দমদম এয়ারপোর্টের ভেপার ল্যাম্পের আলো্র মধ্যে দিয়ে প্লেনের ভিতর থেকে যতটা দেখা যায় আর কি । না দেখা কিছুই যায় না, আকাশ স্পষ্ট অনুমান করতে পারে একটু দূরে মা বাবা ভিসিটর গ্যালারি তে দারিয়ে আছে, হয়তো টাটা করছে,মায়ের চোখে জল,বাবার মুখটা একটু ভারী,হয়ত মাকে শান্তনা দিছছে।
আকাশের চোখের কোনায় জল চিকচিকিয়ে উঠে আর আকাশ চোখ বন্ধ করে স্পষ্ট দেখতে পায় আর একটু দূরে ১০-১৫ কিলোমিটার গেলেই ওদের বাড়ী। সেই স্কুল ,বিশাল খেলার মাঠ ৮ টা বছর ওখানেই কেটেছে।আর একটু দূরে কলেজ ,সেই লর্ডসের মাঠ, উলফ এর হস্টেল,খ্যাকশিয়ালগুলোর সাথে বাওয়ালি,রেবেকার দিনগুলোতে হুল্লোর মস্তি, নাহ এগুলোকে ও মিস্ করবেই। আছ্ছা চাকরী তো ও এই শহর এই পেয়েছিল তাহলে ছেড়ে যাবার কি খুব দরকার ছিল?না হয় সব পেয়েছির দেশে মার্স্টাসটা হত না কিন্তু ওর নিজের কলেজটাই বা খারাপ কি একটু চেস্টাচরিত্র করলে হয়ত আই.আই.টি তেও চান্স পেয়ে যেত ওখানেই না হয় মার্স্টাসটা করত । আ্ছছা হাওড়া থেকে হিউস্টন কত আর দূর?কে যেন বলে ওঠে —“পাগল,সাত সমুদ্র তের নদীর পারে!!”। আকাশ চমকে তাকিয়ে ওঠে; নাহ দেশে হয়ত আর তার ফেরা হল না। প্লেনটা রানওয়ে ধরে দ্রুত গতিতে ছুটতে থাকে।
সুদেষ্নার কথাঃ
আমি সুদেষ্না,আমি যে স্কুলে পরতাম সেখানে প্রতি বছর র্যাঙ্ক করতাম। ফলে ব্রিলিয়ান্ট না হলেও খুব ভালো মেয়ে তকমা টা ছিলই। যখন মাধ্যমিক এর রেসাল্টে স্কুলে জীবনে প্রথম বার ফা্র্স্ট হই তখন আকাশ এর সঙ্গে আমার দেখা হাওড়া মিউনিসিপ্যা্লিটির স্টা্র দের প্রাইজ ডিস্ট্রিবিউশনের দিন। দেখে এমন কিছু আহামরি লাগে নি, না আছে ছিরি না ছান্দ, কিন্তু একটা মিস্টি হাঁসি সবসময় লেগে থাকত ওর মুখে, চোখের ভাষা বোঝার বয়স আমার সেটা ছিল না।এরপর আমার বাংলা টিউশনে আকাশ ভরতি হয়, নিজের পরশুনা নিয়ে এমন কেয়ারলেস আমি কাউকে দেখিনি, আর তখন যারা পরাশুনা এর বাইরে অন্য কিছু ভাবত তাদের আমি তখন দেখতে পারতাম না অথচ আকাশ কিন্তু গবেট ছিল না,হ্যা ক্লাসটেস্ট গুলো, স্কুল এর পরীক্ষা গুলোতে আমার থেকে কম পেত বটে কিন্তু অন্যদের থেকে অনেক ভাল তো করতই। কিন্তু একটা ব্যাপারে আমি ওকে কোনদিনও হারাতে পারিনি সেটা ছিল সকলের সাথে তাদের মত করে মেশার ক্ষমতা,সেই সকলের মধ্যে নিজেকে ছরিয়ে দেবার ক্ষমতাটা।
আকাশ কে আমার প্রথম ভাল লাগতে শুরু করে যখন আমরা ক্লাস টুয়েল্ভে টেস্টের পর প্রথম কোচিন থেকে একটা ফিস্টে যাই। দেখি বাবু একটা লাল রংগের গিটার নিয়ে গেছেন।আমি জানতাম না পাগলটা এত ভাল গিটার বাজিয়ে গাইতে পারে, সেই ফিস্টে চন্দ্রবিন্দুর ওই গানটা প্রথম শুনি। আকাশ গাইছিলো - “আমার ভিনদেশী তারা,একা রাতেরই আকাশে,তুমি বাজালে, একতারা আমার চিলেকোঠার পাশে”... কাউকে প্রথম ভালো লেগে জীবনের মানে টাই অন্যরকম লাগছিলো। সেই ভালোলাগাটা সবার অগোচরে আমার মনে বেড়ে উঠছিলো,আমি আকাশকেও জান্তে দিই নি,নিজের সবছেয়ে প্রিয় বান্ধবিকেও বলিনি যদি ভালো মেয়ে রেপুটেশানটা নস্ট হয়। শেষ যেদিন টিউশন ছিল সেদিন আকাশ আসেনি, বাড়ি ফিরে খুব কেন্দেছিলাম,কেমন যেন মনের ভিতর থেকে ব্যাথাটা বমির মত বেরিয়ে আসছিল।
আকাশ এর সাথে এরপর যোগাযোগ একদম হারিয়ে যায়। ওর মোবাইল নম্বর তা থাকলেও ফোন করার সাহস জুগিয়ে উঠতে পারিনি। শুনেছিলাম আকাশ নাকি বি.ই.কলেজে মেকানিক্যাল পরার চান্স পেয়েছে। কেয়ারলেস পাগলটা কিভাবে বি.ই তে পরার চান্স পেল কে জানে? কিন্তু ওর বি.ই তে চান্স পাবার খবর টা আমার এন.আর.এস এ ডাক্তারিতে চান্স পাবার থকেও আনন্দ দিয়েছিলো। ক্লাস শুরু হবার কিছু দিনের মধ্যে আকাশ আমার জীবন থেকে হারিয়ে যায়, সুহাসদা আসে। না, সুহাস মান্ডি কে মা মেনে নিতে পারেনি, মা কোনোভাবে জানতে পেরে যায় সে সুহাসদা এন্যাটমিতে তিনটে গোল্ডমেডেল পাক না কেন আর সে যতই ভালো ডাক্তারির ছাত্র হোক না কেন,মা আমার ভালবাসাটাকে সমাজের দোহাই দিয়ে খুন করে দিলো, আমার মত নিরভরশী্লের কিছু করারওছিল না । আকাশ এর মত মিস্টি হাসিটা সুহাসদা সবসময় লাগিয়ে রাখত মুখে;সেই সুহাসদাও একরকম ভাবে সেকেনড ইয়ারেই চলে গেল। আমি পরে নিজেকে অনেক প্রশ্ন করেছি,উত্তর পাই নি, কেন আমি সুহাসদাকে পছন্দ করেছিলাম?মনের এই কনফ্লিক্ট আর কনফিউশান এই ফাইনাল ইয়ারেও আমায় তাড়া করে।
বসে বসে পরছিলাম হঠাৎ দেখি একটা অচেনা নম্বর। আমি সাধারনত এইসব নম্বর তুলি না,আজকালকার ছেলেগুল বড্ড বিরক্ত করে,সবার কি অদ্ভুত আব্দার বলে কিনা বন্ধুত্ত করবে,ন্যকামো যত ,কিন্তু নম্বরটার সামনেটায় দুটো শুন্য থাকায় তুলতে বাধ্য হলাম আর আমার এতদিন কার প্রশ্নের উত্তর টা পেয়ে গেলাম।
আকাশের কথাঃ
আমি আকাশ, আমি এমন কিছু আহামরি ছিলাম না,কোন বিগশটও ছিলাম না। একটু উপরের দিকের মাঝারি মানের স্টুডে্ন্ট ছিলাম আর কি।নিজের পরাশুনা নিয়ে আমি কোনদিনও সিরিয়াস ছিলাম না, কিন্তু আমি জানতাম আমায় কি করতে হবে।সবাই বলে তাদের নাকি এক্সপেক্টটেড রেসাল্ট হয় না, আমার আবার চিরটাকালই এক্সপেক্টটেশন এর উপরে রেসাল্ট হয়ে এসেছে। ফার্স্ট ডিভিষন এক্সপেক্টট করেছিলাম পেয়েগেলাম স্টার, অবশ্য মাধ্যমিক তো ওরকম হয়েই থাকে,এখানে মাধ্যমিক ফেল করাটাই সেলেব খ্যাতি এনে দিতে পারে । সুদেষ্নার সাথে আমার প্রথম দেখা হাওড়া মিউনিসিপ্যা্লিটির স্টা্র দের প্রাইজ ডিস্ট্রিবিউশনের দিন। ম্যাডাম হাওড়া মিউনিসিপ্যা্লিটি এলাকায় র্যাঙ্ক পেয়েছিলেন। কি ঘ্যাম দেখতে, সেই মরালীর মত গ্রিবা,টানা টানা চোখ,হরিণের মত চাহুনি ;প্রথম দেখাতেই যে কাউকে ভাল লেগে জেতে পারে সেই জানা। সত্যি love at first sight theory নিয়ে কত বাওয়ালি না আগে দিয়েছি, খিল্লি উরিয়েছি,তখন শালা নিজে বুঝে নিজের মনে মনে খুব প্যাক খেয়েছিলাম। অনেক খুজে ওই ভাটানে শ্যা্মলদার বাংলা কোচিন এ ভর্ত্তি হয়েছিলুম, খালি সুদেষ্নার জন্য ,শ্যা্মলদার নোট লিখলে আমায় বাংলাতে ৭০ পেতে হত না, বাকি যে কটা পড়ত একটাও শালা ৫৫ এর বেশী পায় নি,তবে সুদেষ্নার কথা আলাদা। পড়তে বসে আমার চোখ থাকত সুদেষ্নার দিকে ,আমি কিন্তু খুব স্পস্ট বুঝতে পারতাম সুদেষ্না আমাকে মোটেও পাত্তা দিছছে না, আর দেবেই বা কেন? আমার মত হত ওকে পরাশুনাতে হারিয়ে দিতে পারলেই কেল্লা ফতেহ হবে কিন্তু কোনদিন পারিনি আর আমার সেই সিরিয়াস্নেসও ছিল না, আমি কিতছুতেই আমি আমার আমিত্বটাকে ত্যাগ করতে পারিনি তাই বারবার হেরে যেতাম ওর কাছে তবুও মনের কোনে কোথাও একটা আশা থাকত। বাংলা কোচিন থেকে ফিরেই গিটারে Air Supply বা Elton John এর লাইনগুলো গাইতুম।“ you can take the darkness from the spit of the light & turning into beacon burning endlessly bright….”এটা প্রতিদিন করতে করতে একটা অভ্যাস এ দারিয়ে গেছিল। প্রথম সুযোগ আসে আমাদের কোচিনের ফিস্টে। আমি যখন গাইছিলুম তখন খুব ভাল করে বুঝতে পারছিলাম যে সুদেষ্না আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর ওর দ্রিস্টিটা অন্য কথা বলছে,ঠিক সেই কথা যেটা আমি শুনতে চাই। আমার প্রিয় চন্দ্রবিন্দুর ভিনদেশি তারা গানটা গাইবার সময় ও একমন দিয়ে শুনছিল, শেষ হবার পর বলল “তুই গিটার বাজাস? কোনদিন তো বলিস নি”, আমি বললাম “ তুই কি কোনদিন জানতে চেয়েছিস?”,ও চুপ করে গেল। তারপর কোচিনে গেলে স্পষ্ট বুঝতে পারতাম সুদেষ্নার দ্রিস্টিটা আর আগের মত নেই। আমার ওকে বলে দেবার ইছ্ছেটা খুবই প্রবল হয়ে উঠত কিন্তু বলতে পারতাম না,যদি প্রত্যাখ্যান করে আমি কথায় যাব,আমার মত মিডিওকার ছেলের এত স্পর্ধা হওয়া উচিত না আর হতও না।শেষ যেদিন আমাদের ক্লাস ছিল সেদিন ইছে্ছ করেই আমি যায়নি কারন নিজেকে ফেস করার ক্ষমতাটা আমার ছিলনা আর তার বদলে আমি গিটার নিয়ে বিটেলসের “let it be” সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর আর কি, এইচ.এস,জয়েন্ট আর আমার মত পাতি ছেলের বি.ই তে চান্স পাওয়া। শুনেছিলুম ম্যাডাম নাকি ডাক্তারিতে চান্স পেয়েছেন ব্যাস আর কি ,আমার শেষ আশায় চাষা মরে গেল। সুদেষ্না আমার জীবন থেকে একরকম হারিয়ে যায় কিন্তু মন থেকে যায়নি। ফার্স্ট ইয়ারেই আমার অধঃপতনের শুরু , মানে ওই মদ খাওয়া, সিগারেট টানা এইসব। এরসঙ্গে মাঝে মাঝে একটু গাঁজা, লুকিয়ে চুরিয়ে দু একটা ব্লু-ফিল্ম,দিনভর হুল্লোর,জমাটি আড্ডা, চায়ের কাপে তুফান্,ছন্দহী্ন কবিতা,টেবিল-গিটার বাজিয়ে গান,ফেস্টের পাগল নাচ,দিন পনেরোর রাত জাগা পরীক্ষা প্রস্তুতি, হঠাৎ হঠাৎ চাপের সেমিস্টার আর সেই ঘেরাটোপ পেরিয়ে জিনিয়া,মধুরিমা,ইন্দ্রানী্দের অস্থায়ী ঢুকে পরা আর মনে অঙ্ক কষিয়ে,ফিলসফি বুঝিয়ে,কী্টস পড়ি্যে এলমেল করে, সুদেষ্নাকে মনে পরিয়ে কাঁদিয়ে চলে যাওয়া,এই করতে করতে কখনযে চারটে বছর শেষ হয়ে গেল কে জানে? কিন্তু একটা জিনিস শেষ হয়নি সেটা হল সুদেষ্নাকে পাবার আশাটা।তাই চারহাত ঘোরা সুদেষ্নার মোবাইলের নাম্বার থাকা সত্তেও কোন এক সুহাসদার জন্য আর করা হয়নি,ভেবেছিলাম সুখে আছে থাক,আমি জখন তখনই পারলাম না পরে কি আর পারব। তাই L&T তে একটা চল্লিশ হাজারি চাকরি পাওয়া সত্তেও, বাবা,ডাক্তার সুহাস, কী্টস, ল্যাপলাস, ফ্র্যয়েড আর আমাদের ডিন প্রফেসর KCN (কুবলয় চন্দ্র নাগ) আমায় বাধ্য করল GRE টা দিতে।অতঃপর হিউস্টন।

ইন্টারন্যাশনাল কল ০০ ঃ
“হ্যালো ইয়ং ম্যান,কি এত ভাবছ? আরে প্রথম প্রথম একটু মন খারাপ করে তারপর আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে য়ায়”- আকাশ দেখে একজন মধ্যবয়সী,বয়স ষাটের কাছাকাছি, বোধহয় পুত্র না হয় জামাই গরবে গরবী কেউ হবেন,ওর পাশের সিটে বসে আছেন,বোধহয় দিল্লী থেকে উঠেছিলেন। আকাশ বলে-“ না, সেরকম কিছু না”।ভদ্রলোক বলে ওঠেন-“ আরে,পাছে নকশাল হয়ে যাই সেই ভয়ে বাবা আমেরিকা পাঠিয়ে দিলেন,কিন্তু কি জান তুমি যতই সাফল্যে আকাশ ছোয় না কেন সেই আকাশ ছোয়ার আনন্দ পাবে না,এতদিন এদেশে আছি কিন্তু মনটা আজও সেই চন্দননগরেই পরে আছে,বাবা পরাশুনা শেষ করে দেশে ফিরে যেয় , তোমাদের মত ছেলেদের দেশের দরকার”।আকাশ মনে মনে ভাবল-“ শালা,ঢ্যামনা, নিজে এসে করে খেয়ে দেশভক্তি দেখাছহে,নকশালদের চেয়ে এদের মত পাবলিকের গুলি খেয়ে মরা উচিত ছিল”।আকাশ কথায় আর কান না দিয়ে ইয়ারপ্লাগটা কানে গুজে নেয়,প্লেনটা হিউস্টনের মাটিতে নেমে পরে।
ইমিগ্রেশনের ঝামেলা পেরিয়ে, নিরাপদে সব পেয়েছির দেশে পৌছ্নর সংবাদটা মাকে দিতে টেলিফোন বুথটার দিকে এগুলতেই আকাশের চোখ আটকে গেল একটা বিজ্জাপনে্র দিকে তাতে লেখা আছে ”stand up for what you believe in”,আর সঙ্গে সঙ্গে মনে পরে গেল “তুমি যতই সাফল্যে আকাশ ছোয় না কেন সেই আকাশ ছোয়ার আনন্দ পাবে না”।আর নিজের অজান্তেই মায়ের বদলে প্রায় ভুলে জাওয়া মোবাইল নাম্বারটা ডায়াল করে বসে সে।
আল ইজ ওয়েলঃ
সুদেষ্না ফোনটা তুলে নিতেই যেন তার জন্মান্ত্ররের ঘোর কেটে যায়,আর বহুযুগের ওপার থেকে একটা গলা শুনতে পায়,”সুদেষ্না কেমন আছিস?”।“আকাশ তুই!!?? তুই কেমন আছিস?”।“ ভাল নেই রে”।“ কেন রে তোর কি হয়ছে?”- সুদেষ্না্র মনে হয় যেন পায়ের তলা থেকে পৃথিবী সরে যাছে্ছে। জন.এফ.কেনেডির একটা টেলিফোন বুথ থেকে আকাশ কোন এক ঘোরে বলে যায়-“ আমি এখন আমেরিকাতে,দু বছর বাদে ফিরবই ফিরব, তুই আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকবি তো? তোকে ছারা আমি তো অর্ধেক,অর্ধেক আকাশ কি ভাল থাকতে পারে?”। হাজার হাজার মাইল দূরে সুদেষ্না আকাশকে কোন উত্তর দিতে পারেনা, নিজের প্রশ্নের উত্তরটা হঠাৎ পেয়ে যাওয়ায় একগাল হাসির পাস দিয়ে অবিরাম জলধারা বয়ে চলে।