কলকাতার মারিয়াম – ২
তার আর কোন খদ্দের ছিল না
তবু রঙ মেখে সে দাঁড়াত
প্রতিদিন
কালো চাঁদ, নীলছবি আর লাল
আলোর মাঝে
কলকাতার মারিয়াম।
তার শরীর খুবলে নিয়েছে
অজস্র মৃত নেকড়ে
চরম উত্তেজনা পর্যন্ত
নেকড়েরা দ্বিধা করেনি
মরা হাতলের চাপ দিতে
তবুও আজও মারিয়াম দাঁড়ায়
সন্ধানে
ন্যাকড়া রূপী নেকড়েদের।
এত কিছুর মাঝেও তিনটে যীশু
এসেছিল
দুটো শশ্মানের মাটিতে আর
একটা অন্ধকারে,
যীশুরা কিন্তু বেজন্মা ছিল
না
যদিও লালন নামের লুলো
ভিখারীটা ছিল রসিক
তবু যীশুরা বেজন্মাই ছিল
সমাজের কাছে।
তবে বেশ্যার যীশুরা নাগরিক
হতে পেরেছে
কিন্তু মানুষ হতে পারেনি।
বয়স হয়েছে, দাদারা ছিল না
তাই সে মাসি হতে পারেনি,
না পেরেছে হতে এজেন্ট।
তাই পেটের তাগিদে মারিয়াম
এখনো দাঁড়িয়ে থাকে।
শত তাচ্ছিল্য আর কর্পো
কম্পিটিশানের মাঝে।
তাই যদি এখনো যাও দেখতে
পাবে
কালো চাঁদ, নীল ছবি আর লাল
আলোর মাঝে
দাঁড়িয়ে আছে কলকাতার
মারিয়াম।