Welcome to my world

welcome everybody. please discover yourself with me

Friday, November 19, 2010

সত্যিটা না জানলেই ভাল ছিল।


সত্যিটা না জানলেই ভাল ছিল

সেই সত্যিটা আগে জানতে পারিনি
যখন জানলাম তখন আর কিছু করার ছিল না।

কালো মেঘের চোখে ধুলো দিয়ে
একপশলা গরম বাতাস এসে বলে গেছে
আমার কানে কানে
কৃষ্ণকলী চলে গেছে।

আকাশের দিকে মাথা রেখে
তার নরম কোলে কেঁদেছিলাম
তবু মনের দুয়ার ছিল বন্ধ।
সন্ধ্যাআকাশের শুকতারার আলোয়
আমি ঘ্রান নিয়েছিলাম ওই মাধবীলতার তবু
আমার মন ভরেনি।

আমি পাগল হয়েছিলাম
সেই হরিনীর দৃস্টিতে
অসহ্য করে তুলত সেই যন্ত্রনা,
তাই পাগলের মতো ছুটেছি
মোমপুতুল দিয়ে মনের শোকেশ সাজাতে,
তবু অনামিকার মান ভাঙ্গাতে পারিনি
নিজের ব্যার্থতাকে তাই মনে হয়েছিল
পৌরষত্বে্র অপমান।

ছুটে গিয়ে মুখ লুকিয়েছি
আমার চেনা স্পর্শে,
হাতের তালুতে শান্ত হয়েছে মন
গভীর ঘুম নেমে এসেছে চোখে
বারবার তার চেনা স্পর্শে।
আগুন জ্বালিয়েছি বহুবার তবু
ইচ্ছা করে নেভায়নি।

বুনো ঘোড়াকে বশে আনার আনন্দে
যখন আমি আত্মহারা,
কালো মেঘের চোখে ধুলো দিয়ে
একপশলা গরম বাতাস আমায় বলে গেল
কৃষ্ণকলী ভালবেসে মুক্তি দিয়ে গেছে আমাকে।

এই সত্যিটা আগে জানতে পারিনি
যখন জানলাম তখন আর কিছু করার ছিল না।


Friday, November 5, 2010

চমৎকারের আশায়


অচিরের আকাশখানা, হৃদয়ের ক্ষতচিহ্ন হয়ে;
বয়ে গেছে আর নিয়ে গেছে কিছু স্মৃতি,
আর রেখে গেছে বুকফাটা চাপা দীর্ঘশ্বাষ।

ভাবতে আজকে ভয় করে,
পুরানো কথার নতূন স্মৃতি
আর তার সাথে মিশে থাকে
জমাট অন্ধকারে একফোঁটা কান্না।

সে ছিল, সে নেই; কি ছিল, কি ছিল না
এসবের আজ কোন মানে নেই;
তবু আজ কোথাও না কোথাও
রয়ে গেছে হতাশা, রাগ আর ঘৃনা।

আমি জানি না বিশ্বাষঘাতকতা কাকে বলে,
কিন্তু আমি পেয়েছি তার স্বাদ,
দেখেছি তার চোখে চাতুরতার ঝিলি্‌ক,
আর কিছুতেই বুঝতে পারিনি অভিনয়।

তাই করেছি অনেক কিছুই
হয়েছি জীবন্ত লাশ, পেয়েছি ফেরিওয়ালার প্রত্যাখ্যান,
কিন্তু প্রতিহিংসা নিতে পারিনি আমি
ভাগ্য বোধহয় কাপুরুষ ভাবে আমাকে।

তবু স্বপ্ন দেখি,
কারাগারের ওপারে জীবন না মৃত্যুদন্ড জানি না
তবু তো চান্স নিতে হবে, নতুন ভাবে বাঁচতে হবে।
না বাঁচলে যাব কোথায়?

পালিয়ে যাবার ছেলে নই আমি।
তাই আজো চমৎকারের আশায় বসে থাকি।  

Thursday, October 28, 2010

ফ্রাস্ট্রু এবং কবি


নীল আকাশে
হারিয়ে যাওয়া শূন্যতায় আর মেঘের নিসঙ্গতায়
ভেষে বেড়ায় মন,
অকারনে দোষারোপের পালা, অবিশ্বাষের কালো পর্দাওলা
রক্তমাংসের বিষ।

যে ছুড়িতে কেক না কেটে কাটা যায় হৃদয়
তারই একটু ভালবাসার স্পর্শে তৃষিত থাকে মরুভূমি
ছুঁতে চাওয়ার শিহরন আর আর্তনাদ
এই নিয়েই আবহমান আবর্তিত সাতকাহন।

দুঃস্বপ্নের রাত্রে দেখা কালো বেড়াল
মানুষের খুলি আর যমদূতের কান্না
অ্যান্টিরোমান্টিক নাটকে কিউপিডের হাহাকার
আর অট্টহাস্যে মুখরিত দেবদূতের প্রতারনা
তাই অনূভুতির চড়ায় জেগে ওঠে শুকনো গোলাপ গাছ

ঘুমালেই ক্লান্তি কেটে যাবে
বিঞ্জাপনই মিথ্যা বলতে পারে
তাই বেহিষাবী রাত্রিতে পেগ মাপার কোন প্রয়োজন নেই

ইঁদুর দৌড়ে কেউ জেতে কেউ হারে
হেরোরা কবিতা লেখে
সেই মানেটা বুঝতে পারলে তুমি পাগল না হলে কবি।

Saturday, June 19, 2010

পাগলের গান


পাগলের গান

পাগলের গান

রাতের দুঃখ আকাশে মিশে যায়
অতল গভীর কালো ঠিকানায়,
আমি ভাবছি তাই তুমি শুনছ গান;
আর ফোনটা কাদছে নিঃসঙ্গতায়।
তুমি খেলছ আমি জানি,
তবু হারতে চাই না আমি;
তবু কোথাও আমার নিঃসঙ্গতা,
হারিয়ে ফেলেছে নিরাপত্তা।
তাই আমি আছি কোন অজানা স্থানে,
মৃত্যু উপত্যকার নদীর খাতে,
তুমি চাইলে সেখানে আসতে পার,
হারিয়ে যাওয়া অবিশ্বাষ নিয়ে।
কোন দ্বন্দ কি তুমি বুঝতে পার,
তাই কি মনের গভীরতায় গাও ?
মাতাল হওয়ার আর্শীবাদ,
হারিয়ে ফেলার অভিশাপ,
তুমি শুনতে কি পাও সেই পাগলের ডাক?
তবু কোথাও এই কালো হাতে জীবনের অভিশাপে,
হারিয়ে ফেলেছি তোমার ঠিকানা।
হারিয়ে যাওয়ার চিহ্ন ফেলে আজ কি লাভ?
প্রশ্ন গুলো বড় সত্যি,
তবে তাতে বড় মিথ্যের ছাপ।
শেষ করলেই ভাল লাগে,
কিন্তু অসমাপ্তই যে পিছু টানে,
তাই হার মেনে শেষ করি,
বারবার। 

Wednesday, May 19, 2010

অচলায়তন লাল সেলাম

যদি আমি লিখি ভরসা আছে
থাকবে অচলায়তন
কিছু না থাকুক, অন্তত থাকুক সোজা
উলটো পাইপের নল

ব্রীজ হোক আর সেতুই হোক, হোক না ধান ক্ষেত
বন্দুকের গুলি না চললে ভরবে না যে
রক্ত-ভাতে মায়ের পেট

আমি লিখি তাই আছে বিশাষ
পুলিশ আজো অচলায়তেনর দাস
সুন্দরবনে মরুক পচে উদবাস্তুদের লাশ

না হয় আমরা দালালি করব
মার্ক্সের নামাবলী গায়ে
অচলায়তন তবু বেচে থাক
চৈনিক সংসোধনের নামে

বিষ খায় ওরা, টাকা পায় ওরা , ওরা সিয়ার চর
ওরা মুর্খ, ওরা পাবলিক
দালালি করব, খুন করব
মানছে না যে আর

শত্রুকে দিলি মন্ত্রী করে
ওরে এত সাহষ তোদের
নানুর মঙ্গলকোট ঘরে ঘরে হবে
এই আশা রাখি মনে

অচলায়তনে লেগেছে ফাটল
এত প্রকল্প থাকে?
তুমি কেন সূচ একটা প্রশ্নই
জিগাবো বারে বারে

আমি লিখি তাই শুনতে পাও
লুলাবাই আছে যত
প্রতিদান চায় অচলায়তন
আমি তো নিমিত্ত মাত্র

Sunday, April 18, 2010

এস.এম.এস

এস.এম.এস

জানো একদিন আমি চলে যাব
তবু আমাকে চিঠি লিখ না
আকাশের সেই ঠিকানায় আমায়
নাও পেতে পার

পরিস্থিতি বড় বিষময়
সময়টা বড় অস্থির
তবু পাখির ডাকে শুনতে পাবে
রঙ্গিন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন

তবু আমাকে দেখতে এসো না
অস্তমিত সূর্যের শেষ আলোয়
টেলিফোনহীন একলা ঘরে

মাঝরাতে দুঃস্বপ্নের বুক চিরে
তবু যদি মনে পরে আমার কথা
এস.এম.এস করো

“যাব আমি কাছাকাছি
আর আসবে তুমি জানি
সময় আমার বড় কঠিন গো
তাই কান্নাগুলো ধরে রেখ গো”

Monday, April 12, 2010

Ultimate ইচ্ছে


Ultimate ইচ্ছে

এই মেয়েটা ইচ্ছে করে
কেন বারবার মিথ্যে বলিস?
তোকে তো ছেড়েদিয়েছিলাম
তবুও কেন খাঁচায় আটকে ছিলিস?
শেষ রাতে একফালি চাঁদ
ওঠার কি খুব দরকার ছিল?
তোকে তো আমি বলেছিলাম
সেই ভাল আর বাসতে পারব না আর
তবুও কেন জোড় করে ছিলি আমার কাছে?

এই মেয়েটা ইচ্ছে করে
কেন বারবার হারিয়ে যাস?
তুই তো জানতিস না আছে আমার
স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা, আর না আছে আমার
আকাশ জেতার বাসনা।
তবুও কেন আটকে ছিলি
আমার কালো মেঘের অর্ধেক আকাশে?

এই মেয়েটা আর একবার ইচ্ছে করে
মিলিয়ে যা না তুই
ফিরলেই আমায় দেখতে পাবি,
নিজের হাতে সাজিয়ে দিস
যে ভাবে চাস
ঠিক যেমন করে পাখিরা সাজায়
ট্রেনে কাটা লাশ।

(আমার এক গিটারিস্ট বন্ধু হঠাৎ হারিয়ে যায়, কদিন পরে শুনতে পাই ওর ডেডবডিটা কোন এক স্টেশনের পাশে রেললাইন থেকে পাওয়া গেছে।কারন নাকি প্রেলে ব্যার্থতা, ল্যাং খাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি সেই পুরানো গল্প। না আমি দেখতে যেতে পারিনি , মানে রাগে ইচ্ছে করে যায়নি লাশ কাটা ঘর থেকে ওকে আনতে, আমার খুব ভাল বন্ধু ছিল। কবিতাটা ওর জন্য।)

Monday, April 5, 2010

আমি, সে আর অর্কুট চ্যাট – গান ভার্সান


আমি, সে আর অর্কুট চ্যাট – গান ভার্সান

হয়ত ভীষন ঝরে একটুকরো আশ্রয়
আমার নেই তাই কান্না গিলে নিই
অন্তরমুখিতা তো অভিশাপ নয়
কিন্তু এই জীবন তো অভিশপ্তই

এমন কিছু কথা যার উত্তর নেই আজ
প্রিয় মানুষেরো ভিতরে কি বন্ধু থাকে?
যার কোলে মাথা রেখে পাওয়া যায়
সেক্স নয় একটু সহানুভুতি

সব মানুষ কি মনে করে তাদের জীবনটা অভিশপ্ত?
বেচে থাকার রসদগুলো কেউ পায় কি?
টুকরো টুকরো কান্না থেকে কবিতা লেখা যায়
কিন্তু জীবনের গাইতে পারো কি?

কেউ ঘৃণা টাকে ভালবাসার নাম দিস।

হাতছানি দেওয়া জেলখানা
আর শৈশবের পাগলাগারদ
আমার কান্না গুলো গলিয়ে দেয়
অশহ্য শীতলতার পারদ

এমন কিছু কথা যার প্রশ্ন নেই আজ
প্রিয় মানুষেরো ভিতরে কি শত্রু থাকে?
যার কোলে মাথা রেখে পাওয়া যায়
জিঘাংসা নয় একটু ভালবাসা

কেউ ঘৃণা টাকে ভালবাসার নাম দিস।

Tuesday, March 30, 2010

আমি,সে আর অর্কুট চ্যাট


আমি,সে আর অর্কুট চ্যাট












হয়ত ভীষন ঝরে একটুকরো আশ্রয়
আমার নেই তাই কান্না গিলে নিই
অন্তরমুখিতা তো অভিশাপ নয়
কিন্তু এই জীবন তো অভিশপ্ত
এমন কিছু কথা যার উত্তর নেই আজ
প্রিয় মানুষেরো ভিতরে কি বন্ধু থাকে?
যার কোলে মাথা রেখে পাওয়া যায়
সেক্স নয় একটু সহানুভুতির আশ্বাষ
সব মানুষ কি মনে করে তাদের জীবনটা অভিশপ্ত?
বেচে থাকার রসদগুলো কারা পায়?
টুকরো টুকরো কথা থেকে কবিতা লেখা যায়
কিন্তু জীবনের গান শোনা যায় কি?
কেউ ঘৃণা টাকে ভালবাসার নাম দিস।



Wednesday, March 24, 2010

একটি কাল্পনিক প্রেমপত্র


একটি কাল্পনিক প্রেমপত্র 


(একটি ছেলে এক স্যোসাল নেটওয়াকিং সাইটে এক মেয়ের প্রেমে পরে, আজকালকার ফাস্ট লাইফ প্রেম আর কি। লেখক হিসাবে এক অসম্ভব ঘটনা কে কতগুলো কাল্পনিক চরিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করতে চেয়েছি। দয়া করে এটা আমার পারসোনাল ভাববেন না। স্রেফ একটা আঙ্গিক থেকে ভেবে লিখেছি, মানে এমন হলে কেমন হত এই জাতীয় বাল ছাল চিন্তা কার কি? কেমন হল জানাবেন। আপনাদের সবার উৎসাহই আমাকে লেখার অনুপ্রেরনা গুলো জোগায় জাতে আমি আপনাদের আরো ট্র্যাশ কবিতা বা গল্প লিখে জালাতে পারি।)


প্রিয় তরী,

প্রথমেই লুকোছাপা না রেখেই বলছি এটাকে যদি প্রেমপত্র ভাবতে চাও তো ভেব নইলে এটাকে একটা কনফেসান হিসাবে ভেবে নিয়ে পড়ো, কিন্তু দোহাই তোমার মাথা গরম করে মেইল এর স্প্যাম বা ডিলিট বাটনটা টেপার আগে একটু ভেব একটা চিঠি পড়লে কি
তোমার খুব খুব খুব ক্ষতি হবে?তুমি এই চিঠিটা পড়ে আমার সরলতা/পাগলামোর প্রতি হা হা করে হাসতে পারো অথবা আমার নীচতা,শঠতা,চাতুরতায় তুমি রেগে জেতে পারো কিংবা কন্যাভ্রুন হত্যায় আত্মতুস্ট ভারতবষের ৯৩৮:১০০০ রেশিওর জন্য নিজের প্রতি গর্ব অনুভব করতে পারো কিন্তু দোহাই তোমার চিঠিটা পড়ো অন্তত, আপাত দৃস্টিতে এই ছোট কিন্তু বিশাল মাপের একটা অনুরোধ না করে হয়ত আর উপায় ছিল না।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অরকুটে আমার প্রতীক্ষায় তোমার কোন সাড়া না পেয়ে এ্কটা হঠকারী সিদ্ধান্ত আর নিজের বশে না থাকা পা্লামোর ঝোঁকে এই চিঠিটা লিখছি একটু পড়ো প্লিস কারন আজকালকার দিনে এইরকম একটা চিঠি পড়ার সৌভাগ্য বা দূর্ভাগ্য কজনেরই বা হয়? এই হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবার কারনটা কিন্তু খুব ছোট্ট বারবার তোমার বন্ধুত্ব (যদিও এটা আসল উদ্দেশ্য কোনকালেই ছিল না) এর হাতছানি কেটে জাবার হতাশা।

কোন রাখঢাক না রেখে সোজাসুজিই বলছি আমি একটা ভুল করে ফেলেছি, আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি। বিস্বা্ষ করো আমার এই প্রেমটা বাজারচলতি প্রেমের মত নয় যেখানে প্রেমিক-প্রেমিকা রোজ দিনে রাতে ফোন করবে, মাঝে মাঝে ঘুরতে যাবে, নিজের কোন বেস বা ইনকাম না থাকা সত্বেও অন্যের কস্টার্জিত টাকায় শো অফ করবে আর মনে মনে পাতি বাঙ্গা্লী থেকে বাইরে বং সাজার চেস্টা করবে বা সুজোগ পেলে ঠোটে ঠোট বা সেন্ট্রাল পার্কের নিরজনতায় শরীরে শরীর মিশিয়ে দেবে।না এই প্রেমে আমি পরিনি তরী, আমি প্রেমে পড়েছি লোভে, হ্যা লোভে, আমার ওই “স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা” জাতীয় স্বপ্নগুলো সত্যি হবার অলীক হাতছানিতে, আর সেটা বোধহয় লেখার বদলে একটা কবিতা দিয়ে আরো ভাল বোঝাতে পারবো।

‘মন খারাপের রাতে
হাওয়ায় ভাসে সি মাইনর
বিপ্লবীরা কাঁদে
উরন্ত সব জোকাররা আজ
হাসছে আমায় দেখে
মন খারাপের পাগলা রাতে
ঘুমপারানি বেশে
হারিয়ে যাওয়া কান্না নিয়ে
থাকতে পারছি না আর
ঘুমের মাঝে বলে যা
তুই কি নীলপরী আমার ?

কিম্বা লিম্প ব্লিজকিটে গানটাই ধরে নাও

No one knows what it's like
To be the bad man
To be the sad man
Behind blue eyes
And no one knows
What it's like to be hated
To be fated to telling only lies


But my dreams they aren't as empty
As my conscience seems to be
I have hours, only lonely
My love is vengeance
That's never free

তুমি নিশ্চয় ভাবছ যে আমি কি তাই না? আমি পাগল না ছাগল, মানুষ না ভিন গ্রহের জীব তাই না? তুমি কে ? কি? কোথায় থাকো? কি করো? তোমার মানষিকতা কিরকম ? তুমি কি করকম?তোমার জীবন কিরকম ? তোমার কোন রাজপুত্তুর আছে কিনা? আমি কে? কি করি? কোথায় থাকি? কি রকম ছেলে? এইরকম অনেক অনেক অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর আমরা দুজনেই কেউ জানি না, কোনদিন দেখা হল না, ইথার তরঙ্গে দুটো কথা হলনা, কেউ কাউকে একফোটা বুঝলুম না আর আমি তোমার প্রেমে পড়েগেলাম। কি পাগলামো বলতো?? হয় গরমটা খুব বেশী পড়েছে নয়ত কলকাতা শহরে পাগলামির প্রোকপ খুব বেড়ে গেছে।

দেখ যে প্রশ্নের উত্তরটা আগে থেকেই জানা সেটা করা মানে বোকামি আমি জানি কিন্তু তার বাইরেও মন বলে একটা বস্তু আছে আর তাকে হাল্কা করার জন্যই চিঠিটা লেখা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। দেখ এটা স্বী্কার করতে আমার মনে কোন ভয় বা দ্বন্দ নেই যে তোমাকে ভালবেসেছি না না ভালোলেগেছে, তাই তোমার উত্তরটা জানা সত্তেও চিঠিটা লিখে ফেললাম,কারন তোমাকেও আমায় ভাললাগতে বা ভালবাসতে হবে এমন শর্ত আছে কি?

পরিনতি কি জানি না। তোমার উত্তর আসবে কি জানি না, আরো এমন অনেক কিছু জানি না তবু কিছু কথা লিখে ফেললাম পারলে ক্ষমা কোরো।

তোমার এক চেনা বান্ধবীর মাধ্যমে তোমার মেইল আই.ডি টা পেয়ে চিঠিটা পাঠালাম,ওকে ভুল বুঝ না। ওকে একরকম জোড় করেই বাধ্য করেছি বন্ধুত্বের ইমোনাল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে।হয়ত তোমার সাথে ওর সম্পর্কটা নস্ট হয়ে যাবে তাই বলা আমাকে জা ভাবার ভেব কিন্তু মত বন্ধুকে নয়।

ভালো থেক, আর পারলে আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ,

ইতি
নিলয় নামের এক পাগল, সমাজ নামের এক মুক্ত পাগলাগারদ থেকে।

Sunday, March 14, 2010

কি সেলাম জানাব ???


কি সেলাম জানাব ???

তুমি কি ছিলে চাষার ছেলে
তুমি কি ছিলে মানুষ
কোন আনন্দে স্বপ্ন নিয়ে
উরিয়েছিলে লাল ফানুষ

তুমি কি ছিলে প্রতিরোধে
তুমি কি ছিলে সেখানে
যখন পুলিশের গুলি লেগেছিল
তোমার ভাইয়ের কপালে

তুমি কি ছিলে মায়ের পাশে
তুমি কি ছিলে সেখানে
যখন তোমার জমি কেড়ে নিচ্ছিল
সালিম নামের ডাকাতে

তুমি কি ছিলে নদীর পাশে
তুমি কি ছিলে ব্রীজে
যখন ওপার থেকে বোমার আঘাতে
রক্ত মিশেছে খালে

তুমি কি দেখেছ ইটভাটা
তুমি কি পড়েছ চটি
কাটা রাস্তার দুধারে দেখেছ
ঘরপোড়া ইতি উতি

তুমি কে এনেছ পরিবর্তন
তুমি কি শুকেছ গন্ধ
আর কিছু নাই পারলে
শুধু দেখিয়েছ কিছু স্বপ্ন

Saturday, March 6, 2010

একটি পাগলের আত্মকথন



একটি পাগলের আত্মকথন

সত্যি কে আজ মিথ্যে করে
দেখতে আমি পাচ্ছি না,
তাই তো তোর আগুনটাকে
প্রেমের স্পর্শ লাগতে দিচ্ছি না।
তুই তো আমার অভিমানের
সূর্য ডোবা রাত,
তাই মন কেমনের বাদলা দিনে
তোর খিল্লি করা পাপ।
রাত পোহালেই বৃষ্টি নামে
আমি ভিজি কই?
তাই ল্যাম্পপোস্টের নীল আলোয়
দেখতে কি পাস রংবেরঙের মই?
কুয়াশাঘেরা সন্ধেবেলায়
হতাশ মনে আকাশ দেখিস না,
আর এই কবিতা না বুঝলে
আমার মত পাগল হয়ে যা।

Thursday, February 25, 2010

পরী

পরী


তোকে তো আমার দেখতে খুব ইচ্ছা করে
হাওয়ায় ভেসে আসিস তুই
ইচ্ছে ছিল বলতাম তোকে পরী হতে
অন্ধকারে থাপ্পড় মারিস তুই
তুই যে আমার না বলা ভালবাসার কথা
মন খারাপের রাতে
তোকে মিছেই স্বপ্নে দেখা
নীল আকাশের মেঘ দেখলে তোর চোখে জল
আঘাত পাওয়া ভালবাসায় মারিস ছুরি
কিসের তোর অভিমান যে আমাকেও বললি না
মা কি তোকে বলেছে কিছু
কথা বলিস না আর
হাত বাড়ালেই বন্ধু হয় গল্পে শোনা যায়
তুই কি হবি পরী আমার
সত্যি করে বল
ধার করে আমি বলব না
“করিস নে তুই ছল”
তুই কি জানিস বিল্পবীরা ভালবাসায় চলে
তুই কি জানিস এই পাথরটা কিসে চুর্ন হয়
এত প্রশ্নের মাঝে পাখি বেবাক উড়ে যায়
তবুও তোকে স্বপ্নে দেখি
মন খারাপের রাতে
হাওয়ায় ভাসে সি মাইনর
বিপ্লবীরা কাঁদে
উরন্ত সব জোকাররা আজ
হাসছে আমায় দেখে
মন খারাপের পাগলা রাতে
ঘুমপারানি বেশে
হারিয়ে যাওয়া কান্না নিয়ে
থাকতে পারছি না আর
ঘুমের মাঝে বলে যা
তুই কি নীলপরী আমার ?

Sunday, February 21, 2010

সর্বহারা



সর্বহারা




অর্ণব এসেছিল গতকাল সকালে
কথামত পিস্তলটা দিয়ে গেছে আজ রাতে
তখন থেকেই হাতটা নিস্পিস করছে
মনে হয় কখন গুলি করব ঐ শয়তানটাকে
স্বাধীনতার সঙ্গে শোষনের একি প্রবঞ্চনা
কাজ আর কিছু নেই বসে বসে দিন বদলের দিন গো্না
আশুদার কথামত গিয়েছিলাম বনে
গোপন মিটিং এ শেখা বিল্পবের বাণী যত্নে রাখি মনের কোনে





পরশুদিন বিচার আমার ধরা পরে গেছি
নকশাল বলে কমিঊনিস্টদের যাঁতাকলে পরেছি
হয়ত আমায় ফেলবে মেরে নয়ত দেবে নির্বাসন
তবে দেখতে পাছি জাগছে শ্রমিক, কৃষক, সাধারণ মানুষ জন
হুশিয়ার, নিস্ঠু্র , বেইমান, শয়তান
তোদের বাচাতে পারবে না কোন ভগবান
জনস্রোত জাগবে যখন বাচবি না আর তোরা
দেখবি জীবনপথের জয়গান গাইছে সর্বহারা